এবার আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আগেই সিরিজ খুইয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর শেষ ম্যাচে দাপুটে জয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে। যা ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের জন্য যেমন সান্ত্বনার, একইসঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে নিজেদের কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার সুযোগ।
ম্যাচ শেষে সিরিজ হারের হতাশা ও একইসঙ্গে ইতিবাচকতাও খুঁজে পেয়েছেন টাইগার অধিনায়ক শান্ত। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শান্ত জানান, ‘আলহামদুলিল্লাহ (এই জয়ের জন্য)। আমার মনে হয় আজ ছেলেরা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করে দেখিয়েছে। এই ম্যাচের আগে আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, সেটি তারা পুরোপুরিই বাস্তবায়ন করতে পেরেছে।’
এরপর সিরিজ হারের জন্য হতাশা এবং সান্ত্বনার জয়ে ইতিবাচকতাও দেখছেন শান্ত, ‘সিরিজ হেরে গিয়েছি, সে জন্য অবশ্যই আমরা হতাশ। সত্যি কথা বলতে, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি। আমরা আজ ভালোভাবে জিতেছি, সিরিজটি ভালোভাবে শেষ করেছি। এটা আমাদের বিশ্বকাপে সাহায্য করবে, আত্মবিশ্বাস দেবে। আমরা এখন জানি কন্ডিশন কেমন হতে পারে এবং আশা করছি সামনে ভালো করতে পারব।’
৪ ওভারে মাত্র ১০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। যা বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং ফিগার এবং ফরম্যাটটিতে সবমিলিয়ে অষ্টম সেরা। এমনকি ৩ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরাও পেয়েছেন এই বাঁ-হাতি পেসার। যার প্রতিক্রিয়ায় ফিজ জানান, ‘যেভাবে বল করেছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। ম্যাচে আমি অনেক বৈচিত্র্য ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। ভালো লাগছে যে সেটা কাজে দিয়েছে।’
গতকাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজায় যুক্তরাষ্ট্র। সিরিজ নিশ্চিত হওয়ার পর তারা তাদের বেঞ্চ ক্রিকেটারদের পরীক্ষা করার সুযোগটা হাতছাড়া করেনি। যদিও টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মুস্তাফিজের বোলিং তোপে মাত্র ১০৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।
ফিজ ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে একাই নিয়েছেন ছয় উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে টাইগারদের জয় নিশ্চিত করেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তানজিদ ৫৮ ও সৌম্য ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।